জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল

                                                 জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল

 

                                        জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন বাতিল

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার লক্ষ্যে 'জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩' বাতিল করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি, ২০২৫) ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০২৩ সালে প্রণীত এই আইনটি অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করার পরিকল্পনা ছিল। তবে, আইনটি কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় এটি কার্যকর হয়নি। ফলে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম ইসির অধীনেই পরিচালিত হচ্ছিল।

সুশীল সমাজ, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সাধারণ জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ইসির অধীনে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। এরপর, নির্বাচন কমিশন মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে চিঠি দিয়ে আইনটি বাতিলের অনুরোধ জানায়। citeturn0search1

নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯(১) অনুসারে রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ, তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব ইসির ওপর ন্যস্ত। ভোটার তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, যা থেকে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র উভয়ই প্রস্তুত হয়। সেই প্রেক্ষাপটে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ইসির অধীনে থাকা যৌক্তিক।

আইনটি বাতিলের ফলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ইসির অধীনেই থাকবে, যা ভোটার তালিকা প্রস্তুত ও হালনাগাদসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে। এতে করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা প্রদান আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে এবং নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post