ডট বলের পর ডট বল খেলে বড় হার পাকিস্তানের
ডট বলের পর ডট বল খেলে বড় হার পাকিস্তানের
ক্রিকেটে একটি প্রবাদ রয়েছে—"ডট বল চাপ বাড়ায়, আর অতিরিক্ত ডট বল ম্যাচ হাতছাড়া করে।" পাকিস্তানের জন্য সেই বাস্তবতা যেন নির্মমভাবে ধরা দিল। গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয়ে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাবর আজমের দল। ব্যাটসম্যানদের একের পর এক ডট বল খেলার প্রবণতা ম্যাচে তাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবলো পাকিস্তান
পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিল। প্রথম থেকেই ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ারপ্লে শেষে দলটির সংগ্রহ ছিল মাত্র ৩০ রান, যা আধুনিক টি-টোয়েন্টি মানদণ্ডের তুলনায় খুবই কম। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা একের পর এক ডট বল খেলতে থাকেন, যার ফলে দলীয় চাপ বাড়তে থাকে।
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান জুটি গড়ে শুরুতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনলেও রান তোলার হার ছিল আশানুরূপ নয়। এক পর্যায়ে ৪০ বলে মাত্র ৩৫ রান করে রিজওয়ান বিদায় নেন। বাবরও ৩২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন, যা দলের জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়। মিডল অর্ডারেও কেউ জ্বলে উঠতে পারেননি। একের পর এক ডট বল খেলতে থাকেন শাদাব খান, ইফতিখার আহমেদ ও ফখর জামান। পুরো ইনিংস জুড়ে পাকিস্তান খেলেছে ৫৭টি ডট বল, যা মোট ৯.৩ ওভারের সমান!
বোলারদের প্রচেষ্টা বিফলে গেল
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর বোলারদের ওপর অনেকটাই দায়িত্ব এসে পড়ে। যদিও শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের বোলিংয়ে শুরুতে কিছুটা লড়াই দেখা গিয়েছিল, তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে না পারায় প্রতিপক্ষ সহজেই ম্যাচ জিতে নেয়। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারতে হয়, যা দলের জন্য ছিল একটি বড় ধাক্কা।
সমালোচনার মুখে দল
এই হারের পর পাকিস্তানের ব্যাটিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মতে, আধুনিক ক্রিকেটে এত বেশি ডট বল খেলে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ধীরগতির ব্যাটিং মানেই বিপদ। পাকিস্তানকে ভবিষ্যতে এ ধরনের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার উপায় খুঁজতে হবে, নতুবা বড় ম্যাচে সাফল্য পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়বে।